ঘর দুষণমুক্ত রাখে যেসব গাছ

বাইরে থেকে খালি চোখে ঘরকে দূষণমুক্ত মনে হলেও, আসলে তা নয়। বাজার থেকে এয়ার পিউরিফায়ার তো আমরা অনেকেই ব্যবহার করি। কিন্তু তার থেকে বহুগুণ ভালো ইন্ডোর প্ল্যান্ট। এগুলি শুধু ঘরকে দূষণমুক্তই করে না, স্ট্রেসও কমায়।

চাইনিজ এভারগ্রিন :
নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এটির উৎপত্তি চীনে। সে দেশে এটি খুব জনপ্রিয়ও। বাতাসকে দূষণ মুক্ত করে, বাতাসকে বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ থেকে মুক্ত করে। কিন্তু একে লালন পালনের জন্য খুব বেশী যত্নের প্রয়োজন হয় না। ছায়াতে ভালো থাকে এরা। তবে খেয়াল রাখতে হয় যেন টবের মাটি ভিজে থাকে।

জারবেরা ডেইজি :
বাগানের সৌন্দর্যা বৃদ্ধির জন্য জারবেরা একটি অনন্য নাম। কিন্তু এর বিপুল পরিমাণ অক্সিজেন উৎপাদন ক্ষমতা এবং বাতাস থেকে দূষিত কণা দূর করার ক্ষমতা সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই। তবে এর জন্য সারা বছরই পর্যাপ্ত সূর্যরশ্মি প্রয়োজন হয়। নিয়ম করে পানি দিতে হয়, যাতে মাটি সব সময় ভিজে থাকে। শোওয়ার ঘর এই গাছ রাখার আদর্শ জায়গা।

এরিকা পাম:
বাতাসকে শুদ্ধ করার ব্যাপারে এই ইন্ডোর প্লান্টটির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এটিকে প্রকৃতি যেন বিশেষভাবে তৈরিই করেছে বাতাস পরিশুদ্ধ করার জন্য। এটি বসার ঘরে রাখার পক্ষে একেবারে আদর্শ একটি গাছ। অল্প আলো এবং মাঝে মধ্যে পানি দেয়া ছাড়া বিশেষ যত্নের দরকার পড়ে না।

মানি প্ল্যান্ট :
এটি বাংলার ঘরে ঘরে পরিচিত একটি নাম। তবে সেটা এর কার্যকারিতা সম্পর্কে যতটা, তার থেকেও বেশী এর নামের জন্য। এর বাতাস শোধনের ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে নাসাও। আলো পড়ে না, এমন যেকোনো ঘরে একে রাখা যেতে পারে। সপ্তাহে একবার পানি দিলে যথেষ্ট।

নেক প্লান্ট :
এই গাছটিও বাতাসে অক্সিজেন যোগ করে বিভিন্ন দূষিত পদার্থ দূর করে। এর আরো বিশেষত্ব হল, এটি রাতেও ক্রমাগত বাতাসে অক্সিজেনের যোগান দিয়ে যায়। বদ্ধ ঘরের ক্ষেত্রে এটি একটি আদর্শ গাছ। জানালার অল্প আলো এবং সপ্তাহে একদিন পানি দিলেই বেঁচে থাকবে গাছটি।